October 25, 2024, 4:25 pm
শাহীনঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এক শ্রেণীর অসাধু চক্র বাংলাদেশী জালনোট তৈরী করে সাধারণ মানুয়ের সাথে প্রতারণা করে আসছে। র্যাব সবসময় এধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এলিট ফোর্স র্যাব সূচনালগ্ন হতে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, জাল টাকা ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, খুনী, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের কঠোর হস্তে দমনের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসে। ফলশ্রুতিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং র্যাব জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সক্রিয় জালনোট ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা পশুর হাট, কাঁচাবাজার ও শপিংমলকে কেন্দ্র করে এসব চক্রের তৎপরতা শুরু হয়েছে। তাদের টার্গেট আসল টাকার ভিড়ে জালনোট প্রবেশ করানো। প্রতি বছরই ঈদের মাস খানেক আগে থেকেই এসব চক্র প্রস্তুতি শুরু করে। দিন রাত কাজ করে তারা জালনোট তৈরি করে। এসব জালনোট তারা পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা আবার সেটি বাড়তি মূল্যে খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা জালনোট বিভিন্ন কৌশলে বাজারে ছেড়ে দেয়। ঈদকে ঘিরে জালনোট চক্রের সদস্যরা যেমন সক্রিয় হয় তেমনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরার জন্য তৎপর থাকে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৫ জুন ২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ০২৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঢাকা হোটেল রেডিসন ব্লুু এর সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে একজন ব্যক্তি বিপুল পরিমান অবৈধ জাল টাকা বিক্রয় এর জন্য অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জালনোট ও ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ মনোয়ার হোসেন (২৫), পিতা-মোঃ আব্দুল খালেক, থানা-হাজিগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর’কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে বাংলাদেশী ২৯০০০/- টাকা মূল্যমানের জালনোট, নগদ ৯০০০/- টাকা, ০১টি মোবাইল ফোন, ০১ টি সীমকার্ড এবং ০১ টি হাতঘড়ি উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জাল টাকা সংগ্রহ ও বিক্রির জন্য সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আসছিল। অনলাইনে বিজ্ঞাপন ও ভিডিও দেখিয়ে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করা হতো মর্মে স্বীকার করে। এছাড়াও এই চক্রটি মোবাইল ব্যাকিং এর দ্বারা টাকা আদান প্রদান করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জাল টাকা খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌছে দিত।
উদ্ধারকৃত জাল টাকা ও গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।